সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক নুরুল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জাতীয় দৈনিক অপরাধ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। গাইবান্ধা সাংবাদিক কল্যান পরিষদের (জিএসকেপি) উদ্দ্যােগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার পশ্চিম কুপতলাগ্রামে তার বাড়ীতে গিয়ে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি গোবিন্দ লাল দাস, আরটিভি’র প্রতিনিধি ফেরদৌস জুয়েল, একাত্ত টিভি’র প্রতিনিধি শামীম আল সাম্য, বৈশাখী টিভি’র প্রতিনিধি এসএম বিপ্লব ইসলাম, এস এ টিভি’র কায়সার প্লাবন, আনন্দ টিভি’র প্রতিনিধি মিলন খন্দকার, নিউজ ২৪ টিভি’র সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, সিএনএন বাংলা টিভি’র ফারহান শেখ, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল জনি, নতুন দিগন্তের সাংবাদিক সঞ্জয় সাহাসহ অন্যরা।
এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অসুস্থ্য সাংবাদিক নুরুল ইসলামের শারীরিক খোজ খবর নেন এবং পুরোপুরি সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার এই দু:সময়ে কেউ এগিয়ে না আসলেও আপনাদের পাশে পেয়ে আমি আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।সবাই আমার জন্য দোওয়া করবেন। আমি যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আগের মতো সাংবাদিকতা পেশায় ফিরতে পারি।
গাইবান্ধা সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের অন্যতম নেতা মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল বলেন, গাইবান্ধায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো আজ। সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের এই মহান উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সংগঠনটির সদস্য সচিব একাত্তুর টিভি’র সাংবাদিক শামীম আল সাম্য বলেন,মুলত সংগঠনটি সাংবাদিকদের কল্যানে কাজ করবে।
সাংবাদিকতা পেশায় থেকে যারা নির্যাতিত হয়েছেন,হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হয়েছেন, এমনকি করোনাকালীন সময়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবছর এমন ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই সংক্রান্তে সাংবাদিকদের কাছে আবেদন চাওয়া হয়েছে,অনেকেই আবেদন করেছেন, সেগুলো যাচাই বাছাই শেষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিটি।