বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, বাঙালি জাতির অন্তরে মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আগস্ট মাস জাতির জন্য শোকের মাস, দুঃখের মাস। আওয়ামী লীগকে এ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতেই পাকিস্তানি প্রেতাত্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল।
শুধু তাই নয় তারা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছিল। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। তিনি আল্লাহর রহমতে প্রানে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ শত শত নেতাকর্মী নিহত ও সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ আহত হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বগুড়া জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দেয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৭১ পরাজয় গ্লানি মেনে নিতে না পেরে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্র এখন পর্যন্ত একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এখনই সময় এদের বিষ দাঁত উপঁড়ে ফেলার।
মজনু বলেন, কৃষক লীগ একটি সুসংগঠিত দল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক লীগকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, মৎস্য ও প্রানি সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামছুদ্দিন আল আজাদ, সদস্য আবুল খায়ের নাঈম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ একেএম আছাদুর রহমান দুলু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, সদস্য রুমানা আজিজ রিংকি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান রাজন, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল পাইকার, আবু বক্কর সিদ্দিক রাজা, ইকবাল হোসেন, বাদল রহমান, শাহিন কাদির জোয়ারদার, আখতারুজ্জামান তুষার, আরিফুল ইসলাম সুমন, মাহমুদ খান ডন, মিজানুর রহমান মিজান, বকুল আহম্মেদ, হেলাল উদ্দিন, খালেকুজ্জামান, বজলুর রহমান বকুল, আরপি গুপ্ত, মাসুদ রানা সরকার, তাহিয়াতুল কাবীর রাব্বুল, মাফু, বিথি, লুৎফর রহমান, শাহিন, সফিক, আবুল কালাম আজাদ, ঠান্ডা, রুস্তম, ফরাজী, ইদ্রিম মন্ডল, আনোয়ার হোসেন, লিটন, সাইদুর, রায়হান, মানিক, দুখু হায়দার আলী, নাহিদ, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শেষে শোকাবহ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।