মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদে নৌকা ডুবিতে ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করো হয়েছে। গতকাল সান্ধরাতের ওই দুর্ঘটনায় রাত বারোটা পর্যন্ত উদ্ধার কারর্যক্রমের সর্বশেষ তথ্যে পুলিশ ২১জনের মারা যাওয়া কথা নিশ্চিৎ করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসক রাতেই ঘটনাস্থালে পৌছে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন এবং ঘটনার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদে স্থানীয় চম্পকনগর ঘাট থেকে ২ শতাধিক জন যাত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উদ্দেশে বিকেলে রওনা দেয় একটি নৌকা। সন্ধ্যার একটু আগে লইছকা বিলে বালুবাঝোই স্টিলের দুটি নৌকা পর্যায়ক্রমে যাত্রীবাহী ওই নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সাথে সাথেই যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে পানিতে ডুবে যায়। এসময় যাত্রীদের চিৎকারে লোকজন উদ্ধারের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে রাতে পুলিশ এবং ফায়ার সর্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। রাত বারোটা পর্যন্ত তারা ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে বাকি ব্যাক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে নৌকা ডুবির ঘটনায় ২১ জনের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
এদিকে উদ্ধার কার্যক্রমে তদারকি করেতে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান। তিনি এসময় গণমাধ্যকে বলেছেন, দুর্ঘটনাটির মূল কারণ অনুসন্ধার করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি তাৎক্ষণিক ভাবে গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ১০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরো বলেন, মৃতব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।