বগুড়ার সোনাতলায় তিন সন্তানের জননী ইরেনা বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামী সন্তান ও ছেলের বউ পলালতক রয়েছে। পুলিশ রবিবার (৫সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বাড়ির পশ্চিম পাশে যমুনা বাধের পূর্ব পাশে মাঠের মধ্যে একটি গাছের ১৫/১৬ ফুট উচু ডালে রশির সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ইরেনা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। ইরেনা বেগম ওই গ্রামের আনছার সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানা’র স্ত্রী। সুরতহালের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫/২৬ বছর আগে ইরেনা বেগমের সাথে ছানোয়ার হোসেন ছানার বিয়ে হয়। সংসার কালে তাদের তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বড় ছেলে লেমনকে বিয়েও করিয়েছেন। ছেলের বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ছেলে বউ বৃষ্টি বেগমের সাথে শ্বাশুরী ইরেনা বেগমের জগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। এরই এক পর্যায়ে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ব্যাপারে ইরেনার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ছেলে লিয়ন জানান, শনিবার সকালে তার মা ও ভাবীর মধ্যে ঝগড়া বেধে গেলে বড়ভাই লেমন ও বাবা ছানোয়ার সরকার মা ইরেনা বেগমকে গালিগালাজ করে।
লিয়ন আরো জানায়, সারা দিন রাগ অভিমান করে থাকার পর রাত্রি ৯টায় তার মা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরের দিন রোববারে সকালে জানতে পারে তার মা মাঠের একটি গাছের ডালে রশির সাথে ফাঁস দিয়ে মৃত অবস্থায় ঝুলে আছে। ঘটনাটি জানার পর তার বাবা, ভাই ও ভাবী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইরেনার বৃদ্ধ শ্বাশুরী জানায়, ঘটনার আগের দিন তিনি সোনাতলায় তার মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে আজ সকালে বাড়িতে এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইরেনার বাবার বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী জানান, বন্যার অথৈ পানি ভেঙ্গে শাড়ি পরা অবস্থায় কিভাবে মেয়েটি গাছের ১৫/১৬ ফুট উচুতে উঠে গলায় ফাঁস দিলো?
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি নিজেই ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান এবং ইরেনা বেগব নামের গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে মৃত ইরেনার ভাই হেলাল বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।