বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন চাষিরা। আগাম সবজি চাষে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলার চাষিরা মাঠে কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সবজি চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ফুলবাড়ী, নারচি, ভেলাবাড়ী, কুতুবপুর, হাটশেরপুর এলাকায় যমুনা নদীর পানি এসময় প্রবেশ করেনি। ফলে এ এলাকায় চাষিরা হরেক রকমের আবাদ করছেন। এলাকায় ধান উল্লেখযোগ্য ফসল হলেও; চাষিরা এবছর আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। বিশেষ করে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী নয়াপাড়া, মাঝবাড়ী, হরিনা, কাটাখালী, রামচন্দ্রপুর, রামণগর, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা, জোড়গাছা, নারচী ইউনিয়নের গণকপাড়া, ফকিরপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের মাছিরপাড়া ও বড় কুতুবপুর গ্রামের চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ এলাকায় আগে ছিলোনা আগাম সবজি চাষ। এ বছর থেকে দেখা যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাতের সবজি চাষ শুরু করে দিয়েছেন। এতে যেমন কৃষক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্ববলম্বি হবেন, তেমনিভাবে সবজি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তারা বলেন, এবার উপজেলায় ৭১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এখানকার চাষিরা প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করেছেন। এর মধ্যে হলো ফুল কপি, বাঁধা কপি, ধনিয়া পাতা, লাল শাক, পালং শাক উল্লেখযোগ্য।
ফুলবাড়ী মালোপাড়া গ্রামের চাষি শ্যামল বর্মন জানান, আমি এবার ২০ শতাংশ জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। অন্য জায়গা থেকে চারা কিনে এনে প্রায় ২১’শ চারা রোপন করেছি। এবার পরিমান মত বৃষ্টি হওয়ায় চারাগাছগুলো তরতর করে বেড়ে উঠছে জমিতে। আমার মনে আশার আলো জেগেছে। আগে কখনো সবজি চাষ করিনি। এবার প্রথম ফসলটি করে ফসলের ধরন দেখে মনে খুশির দোলা লাগছে। আশা করি ভালো ফলন পাব আমি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল হালিম বলেন, এ অঞ্চলের চাষিরা অত্যান্ত পরিশ্রমি। আমাদের দেয়া পরামর্শ ক্রমে তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগাম সবজি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। এ ছাড়াও এবার বন্যার পানি কম থাকায় চাষিরা আগাম সবজি চাষ করে ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি। আমাদের কর্মীরা সবজি চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্চেন।