অপহরণের ৬৮ দিনেও কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবার থেকে পুলিশের গাফিলতির জোড়ালো অভিযোগ তুলেছে। গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৬ জন দূর্বৃত্ত বগুড়ার সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে এক কিশোরী ফিল্মী স্টাইলে অপহরণ করে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে তাদের মামলা না নিয়ে ফিরে দেয় পুলিশ।
পরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে, গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়নের উত্তর বটিয়াভাংগা গ্রামের মো: আহাদ সরকারকে (১৯)। এছাড়াও আসামীর তালিকায় রয়েছে আহাদের বাবা মো: মোস্তাফিজার রহমান (৪২), মা-মোছা: মিতালী বেগমসহ (৩৮) আরো ৪ জন। আদালতের নির্দেশে পরবর্তিতে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা হিসেবে অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়। তবে আজ পর্যন্ত অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য না করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, অপহৃত কিশোরী সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৭ জুলাই বিকেলে কিশোরী বাড়ির পার্শ্বে রামচন্দ্রপুর বাজারের দোকান থেকে কলম-খাতা কিনে নিয়ে বাড়ি আসার পথে ৬ জন দূর্বৃত্ত জোড় পূর্বক কিশোরীকে থ্রি-হুইলার সিএনজিতে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। সেই থেকে কিশোরী কোথায় কি অবস্থায় আছে জানে না তার বাবা-মা। মা ফেন্সী বেগম বলেন, দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে মেয়েটি বড়। অপহৃত হওয়ার পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু থানায় অভিযোগ নেয়নি। পরে আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা রেকর্ড করানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য দৃশ্যমান কোন তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছি না। এ জন্য বর্তমানে হতাশায় এবং অজানা শঙ্কায় আমাদের দিন কাটছে আমাদের।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সায়িয়াকান্দি থানা উপ-পরিদর্শক তপন জানান, বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরুত্বসহকারে মামলাটি তদন্ত কর হচ্ছে। আসামীরা সু-চতুর হওয়ায় গ্রেপ্তার করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আশা করছি খুব শিঘ্রই কিশোরীকে উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।