এইচআইভি সচেতনা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের নিয়ে সেমিনার করেছে লাইট হাউস বগুড়া অফিস। এসময় লাইট হাউসের প্রকল্পের টিম লিডার সালাহ উদ্দীন এইচআইভির সর্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে একজনের শরীরে এই মারণব্যাধির উপস্থিতি ধরা পড়ে। সেই থেকে এই পরিসংখ্যান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন ৮হাজার ৭৬১ জন এইচআইভি আক্রান্ত রোগী আছে। শুধুমাত্র ২০২১ সালেই নতুন রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে ৭২৯জন। ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট মৃত্যু সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৮ জন। শুধু চলতি ২০২১ সালে এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ২০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
বাংলাদেশে এইচআইভি এমন চিত্র তুলে ধরার পর লাইট হাউসের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আরো বলেন, সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং পারিবারিক সচেতনাতা সৃষ্টিতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
২৭ ডিসেম্বর দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের করতোয়া অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, বগুড়া সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। মেডিক্যেল অফিসার (সিভিল সার্জন) ডা: ফারজানুল ইসলাম, ব্রাকের ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর বাবলী সুরাইয়া, এ্যাড. আরাফাত জাহান যুথি, বগুড়া সদর থানার ইনস্পেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি প্রতীক ওমর, লাইট হাউসের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট উত্তম কুমার গোস্বামী, ডিআইসি ম্যানেজার পারভেজ আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, ইমাম, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সেমিনারে বগুড়া সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী তার আলোচনায় উল্লেখ করেন, এইচআইভি সচেতনতায় তথ্য প্রবাহ বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। প্রত্যেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এইচআইভি চিকিৎসার কেন্দ্র এবং সেবা প্রদানে তথ্য বিস্তারিত থাকলে আমরা সনাক্ত রোগীদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবো। সেই সাথে তিনি ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়েও জোর নজর দিতে বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, এইচআইভি থেকে সমাজ তথা দেশকে রক্ষা করতে গণসচেতনার বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন এক সময় এইচআইভি সচেতনায় গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচার দেখতাম। এখন সেই প্রচার চোখে পড়ে না। ফলে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতামূলক বোধের সৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি এইচআইভির ভয়াবহতার দিক উল্লেখ করে ব্যাপক প্রচারের পরামর্শ দেন।