এবারো ঈর্ষনীয় সাফল্যে ভাসছে বগুড়ার আরএসএফ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখা প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবারো শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অকৃতকার্য নেই কেউ। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দাবী, ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে বড় কারণ হলো নিয়মিত পাঠদান করা। বাৎসরিক একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সারা বছর পাঠদান করা। রহিম আফরোজ কোম্পানির সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এটি। যা আরএসএফ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অবস্থিত।
এ বছর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এরমধ্যে ২৭ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং ২৫ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখানে প্রাথমিক শাখা অনাবাসিক এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ আবাসিক। এখানে যেসব পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নিচে তারাই এখানে পড়ালেখার সুযোগ পায় এবং সম্পূর্ণ খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করেন।
অভিভাবকদের মতে এমন সাফল্যের পেছনে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের ২৪ ঘণ্টার একটি শিডিউল আছে। এই শিডিউল অনুসারে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি করানো হয়। শিক্ষার্থীদের এই শিডিউল কোনোভাবেই ব্রেক করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রতিদিন একাডেমিক ক্লাস শেষে ৩ ঘণ্টার প্রিপারেটরি ক্লাস নেয়া হয়। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নেয়া হয়। শুধু তাই নয় এখানে রুটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা শিক্ষকগণ অবস্থান করেন এবং শিক্ষার্থীদের মনিটর করেন। এ ছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষও আমাদের সব সময় নিয়মিত মনিটর করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্যাডেট কলেজের প্রায় সব নিয়মগুলো ফলো করা হয়। এই জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যেসব পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নিচে তারাই এখানে পড়ালেখার সুযোগ পায় এবং সম্পূর্ণ খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করেন।