বিশ্ব বিদ্যালয় শেষ করে রীতিমত উদ্যোক্ত হয়ে গেলেন আলম হোসেন। চাকরির পিছনে হণ্যে হয়ে দৌড়ে পরাজিত হন। পরিবারের কাছে বোঝা না হয়ে অগত্য নেমে পড়েন ব্যবসায়। কোভিড-১৯ চলাকালে শুরু হয় অনলাইনে বাণিজ্য। ‘এডভান্স লেদার’ নামে একটি পেজ খুলে শুরু করেন চামড়ার জুতা বিক্রি। সময়ের ব্যবধানে গ্রাহকদের কাছে বেশ প্রিয়তা পায়। আস্তে আস্তে আগ্রহ বেড়ে যায়। এর মধ্যে ছোট ভাই আব্দুল আলিমের পড়ালেখা শেষ হয়। আলমের পরামর্শে আব্দুল আলিম চাকরির পিছনে এক দিনের জন্যও দৌড়াননি। বড় ভাইয়ের ব্যবসায় যোগ দেন। ক্রমাগত সাফল্যে চামড়ার জুতার জগতে অবস্থান তৈরি হয়ে যায়। গ্রাহক চাহিদার কথা বিবেচনা করে আলম ‘এডভান্স লেদার’ নামে বগুড়ার রানার প্লাজায় একটি শো-রুম শুরু করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সেই শো-রুমের উদ্বোধন হয় কিছুটা হৈ চৈয়ের মধ্য দিয়েই।
বগুড়ার সরকারি আজিজজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারি অধ্যপক শাহিন রেজা ফিতা কেটে শো-রুমটির উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘বেকারত্ব জীবন নিয়ে বসে না থেকে ব্যবসায় মনযোগ দেয়া প্রশংসনীয় কাজ। শিক্ষিত যুবকরা যদি শুধু চাকরির পিছনে না দৌড়িয়ে নিজেরা কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে দেশ আর্থিক দিক দিয়ে আরো এগিয়ে যাবে’। তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবসার মূল নীতিগুলোর একটি হচ্ছে মান ধরে রাখা। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে দাম এবং মান নিয়ে সব সময় শতর্ক থাকতে হবে’।
‘এডভান্স লেদার’ উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর দারুল উলুম মার্কায উদ দ্বীন কাওমী মাদ্রাসার মুহতামিম মাহবুবুর রহমান, হবিবুর রহমান, পুলিশের এসআই খলিলুর রহমান, নুর আলম রনি, আব্দুল আলিমপ্রমূখ।
তরুণ উদ্যোক্ত আলম হোসেন বলেন, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের উপর অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেছি। এরপর চাকরির পিছনে কয়েক বছর দৌড়াদৌড়ি করেছি। চাকরির সন্ধান পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে আয়ের পথ খুঁজি ব্যবসার মাধ্যমে। প্রথমে অনলাইনে চামড়ার জুতা বিক্রি শুরু হয় মার্কেটিং। আমাদের জুতার মান ভালো এবং দাম নাগালের মধ্যে থাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন বগুড়ার রানার প্লাজায় শো-রুম শুরু করলাম।