কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার চীনা তাইপের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি যে সাবিনা–সানজিদাদের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে, সেটা জানা কথাই। চীনা তাইপে কঠিন প্রতিপক্ষই। নারী ফুটবলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে দলটি। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৪০, চীনা তাইপের ৪০।
তবে এমন দলের সঙ্গে খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যেমন বললেন, ‘এমন দলের সঙ্গেই বেশি করে খেলতে হবে। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে যত বেশি খেলব, দলের খেলোয়াড়েরা তত বেশি শিখতে পারবে। সময় এখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গেই খেলার।’
চীনা তাইপের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষে বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা এ কথা বলেন। চীনা তাইপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ৩১ মে, একই ভেন্যুতে দ্বিতীয়টি ৩ জুন। দুটি ম্যাচই শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে।
সাবিনা অবশ্য সাহস নিচ্ছেন অতীত থেকেই, ‘গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছি। এশিয়ান গেমসে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে আসবে।’
গত সেপ্টেম্বরে হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল জাপান, ভিয়েতনাম ও নেপাল। বিশ্বকাপ খেলা জাপান ও ভিয়েতনামের কাছে বাংলাদেশের মেয়েরা রীতিমতো উড়ে গেছে। জাপানের বিপক্ষে ৮-০ গোলে হারের পর ভিয়েতনামের সঙ্গেও হার ছিল ৬-১ গোলে। তবে চীনা তাইপে জাপান কিংবা ভিয়েতনাম নয়। এ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ভালো পারফরম্যান্স। সেটি জোর গলাতেই বললেন সাবিনা।
এ দুটি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন বাফুফে এলিট একাডেমির হেড কোচ জেমস পিটার বাটলার। এই ইংলিশ কোচ বাংলাদেশে আসার আগে বতসোয়ানা ও লাইবেরিয়া জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এলিট একাডেমির পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন, ‘আমি মেয়েদের দায়িত্ব নিয়ে দেখছি, খেলোয়াড়েরা দারুণ প্রতিভাবান, খুবই সুশৃঙ্খল। এই দলের কোচ হয়ে ভালো লাগছে।’
চীনা তাইপের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে নেই কৃষ্ণা রানী সরকার ও মারিয়া মান্দা। কৃষ্ণা বেশ অনেক দিন ধরেই চোটে ভুগছেন। মারিয়াও চোটে পড়ে এই প্রথম জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন। কোচ বাটলার বলেন, ‘ম্যাচ খেলার মতো ফিট না থাকার কারণেই তারা দলে আসেনি। তবে আমি মনে করি, কারও না থাকাটা অন্যদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়।’
জাতীয় দলের স্কোয়াডে এই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন মোসাম্মাৎ সাগরিকা। ফেব্রুয়ারিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন সাগরিকা। সুযোগ পেয়েছেন সৌরভী আকন্দ প্রীতি। তিনিও নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে বিজয়ী বাংলাদেশ দলের সেরা ফুটবলার, হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।