গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলা থেমে নেই। তেল আবিবের ক্রমাগত হামলায় প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে গাজার বেসামরিক লোকজন। এতে নতুন করে হামাস-ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে মধস্থতাকারী দেশগুলো। রোববার অনলাইন আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসকে গাজায় চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, মিশর ও কাতার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর এমন আহ্বানের পরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক খবরে জানিয়েছে, শনিবার গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৬ হাজার ৪০০ জনে। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরাইলি অবরোধের ফলে গাজার স্বাস্থ্য পরিষেবা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা নেই। এতে আহতদের সঠিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে গাজার বড় বড় হাসপাতালগুলো। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অনেকেই চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
গাজায় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিজ দেশেও সমালোচিত হচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইসরাইলি রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন। তারাও নেতানিয়াহু সরকারকে গাজায় তড়িৎ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সকল জিম্মির মুক্তি না মিললে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসবেনা ইসরাইল। হামাসও পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত। তবে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিলেই কেবল তারা কার্যকরি যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। অন্যথায় তারা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সেসময় তারা ২৫০ জনের বেশি ইসরাইলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। যাদের বেশ কয়েকজনকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দিয়েছে হামাস।