সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

নেসকোতে নিয়ম লঙ্ঘন করে বগুড়ার ২ কর্মকর্তাসহ ৩১জনের নিয়োগ!

স্টাফরিপোর্টার:
  • Update Time : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১০৫ Time View

রাস্ট্রায়ত্ত নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) বগুড়ার ২ কর্মকর্তা সহ ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশসহ যেসব নিয়ম মানার কথা সেগুলো না মেনে গোপনে এসব নিয়োগ শেষ করা হয়েছে। এসব নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান দল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের ১০৪তম সভায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নেসকোর বিধিমালা অনুযায়ী এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া বাধ্যতামূলক। একই পদে অন্তত কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বীও থাকতে হবে। নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণও বাধ্যতামূলক। তবে এসব শর্তের কোনোটিই মানা হয়নি এই ৩১ নিয়োগের ক্ষেত্রে। এমনকি মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। কোনো ধরনের পরীক্ষা ও বিজ্ঞাপন প্রচার ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এসব নিয়োগ প্রাপ্তদের প্রথমে অস্থায়ীভাবে নেসকোতে যুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে গোপনীয়ভাবে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

নিয়োগ প্রাপ্তদের ২জন বগুড়ায় নিয়োগ পেয়েছেন তারা হচ্ছেন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সালমান শিহাব ও সেলিনা আকতার স্বপ্না ইউডিএ। তাদেরও দুদকের মুখোমুখী হতে হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিরুল ইসলাম ও তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) সৈয়দ গোলাম আহাম্মদ মিলে এই নিয়োগ বাণিজ্য গোপনে করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার, নেসকোর বিধিমালা ও রাস্ট্রায়ত্ত সরকারি চাকরির বিধিমালা লঙ্ঘন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ নিয়েছেন। ঘুস বাণিজ্য করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ব্যক্তিগতভাবে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এ নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি নেসকোকে এসব নিয়োগের ও ১০৪তম সভার রেকর্ডপত্র ২৬ জানুয়ারি সরবরাহ করার জন্য বলা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

নেসকোর পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল বগুড়ার সহকারী প্রকৌশলী সালমান শিহাব নিয়োগ পেয়েছেন এই ৩১ জনের মধ্যেই। তার কাছে নিয়োগ পরীক্ষা ও বিজ্ঞপ্তির কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো না।’ তবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। এই বিষয়ে একটি কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এই নিয়োগের বিষয়ে কথা বলা যাবে, এখন নয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) আশিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কমিশনকে আপডেট জানানো হবে। কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্তাধীন বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাননি দুদকের এ কর্মকর্তা।

এদিকে সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আলম বগুড়ায় নেসকো-৩ এ কর্মরত থাকা অবস্থায় দায়িত্ব পালনকালে ডিজিটাল মিটার হতে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপনের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তিনি বর্তমানে রাজশাহীতে বদলী হয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 trinomulkhobor.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin