ম্যাচে নামার আগে আফগানদের বোলিং শক্তির প্রশংসা করেছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে সর্তক থেকে ম্যাচ জয়েই লক্ষ্য ছিল তার। যদিও মাঠে সেই কথার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। আফগানদের দেওয়া ১৬০ রানের জবাবে মাত্র ৭৫ রানে গুঁটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। ৮৪ রানের বড় জয়ে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলেছে আফগানিস্তান।
মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেনকে। এরপর দলীয় ১৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়লে ধস নামে কিউইদের ব্যাটিং অর্ডারে। বলার মতো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি দলটির কোনো ব্যাটার। দলীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে। বাকিদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অংকের দেখাও পায়নি দলটির কোনো ব্যাটার।
ফজল হক ফারুকী ও রাশিদ খান তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১৫.২ ওভারে ৭৫ রানেই অলআউট আফগানিস্তান। দুজনের শিকার ৮ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেট তুলেছেন ফারুকী।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আফগানদের দারুণ শুরু এনে দেন দলটির দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের জুটিতে আফগানরা পেরিয়ে যায় দলীয় শত রানের ঘর। এরপর অবশ্য সাফল্য পেয়েছে কিউইরা। ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে কিউইদের বহুল আরাধ্যের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন ম্যাট হেনরি। তার বলে স্টাম্প ভাঙে ৪১ বলে ৪৪ রান করা ইব্রাহিমের। তাতে ১৪.৩ ওভারে ১০৩ রানের জুটি ভাঙে আফগানদের।
এরপর অবশ্য দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১৩ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব এসে পড়ে মোহাম্মদ নবীর কাঁধে। তবে তিনি উইকেটেই এসেই ফিরে যান কিছু না করেই।
এরপর অবশ্য অধিনায়ক রশিদ খানকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহটাকে দেড়শ পার করান গুরবাজ। রশিদ অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি। ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন। এরপর দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ বলে ৮০ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে ফিরেছেন গুরবাজ। তাতে আফগানদের ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ১৫৯ রানে। কিউইদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট।