জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল, শুধু প্রশ্ন ছিল কত বড় হবে ব্যবধান। কিন্তু ব্যবধান যে এত বড় হবে, তা হয়তো ভাবেনি অস্ট্রেলিয়াও। নামিবিয়াকে তারা হারিয়েছে ইতিহাস গড়ে। মাত্র ৩৪ বলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অজিরা। একই সাথে নিশ্চিত করেছে শেষ আটও।
বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার নামিবিয়াকে হারিয়েছে ৯ উইকেটে। আগে ব্যাট করা নামিবিয়াকে ১৭ ওভারে ৭২ রানে আটকে দিয়ে মাত্র ৫.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় অজিরা। মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া এদিন জয় পায় ৮৬ বল হাতে রেখেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে জয়ের নজির আছে কেবল আর একটি, ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯০ বল বাকি রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরু থেকেই নামিবিয়াকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ১৭ রান করতে পারে নামিবিয়া। ১০ ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৭ রান। বিশ্বকাপে প্রথম ১০ ওভারে এর চেয়ে কম রানের ঘটনা আছে আর একটি। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের মাঝ পথে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৬ রান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। প্রথম ১৬ বল থেকে কোনো রান অবশ্য নিতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি রানের খাতা খোলার জন্য এত বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আর কোনো ব্যাটসম্যানকে।
এ দিকে, জ্যাম্পার ছোবলে ৪৩ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে নামিবিয়া। এরপর এরাসমাসের ৪৩ বলে ৩৬ রানে কোনো রকমে মান বাঁচায় তারা। ইনিংস থামে ৭২ রানে। যা নামিবিয়ার টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন পুঁজি।
ছোট রান তাড়ায় একদমই সময় নেননি ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। দুর্দান্ত শুরু করা ডেভিড ওয়ার্নার ৮ বলে ২০ করে আউট হলেও সমস্যা হয়নি। ওপেনার ট্রাভিস হেড মার্শকে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব বজায় রাখেন। ১৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর তিনে নামা মার্শ ৯ বলে ১৮* রান করেন।