রাজকীয় প্রত্যাবর্তন সাকিব আল হাসানের। ফুলে ফেঁপে ওঠা সব সমালোচনার জবাব যেন ব্যাট হাতেই দিলেন তিনি। প্রায় ২০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে উঁচিয়ে ধরেছেন ব্যাট। তুলে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে দলের হয়ে প্রথম ফিফটি। তাতে দলও পেয়েছে সমৃদ্ধ সংগ্রহ।
বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে টসে হেরে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেছে টাইগাররা। যা এবারের আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ নড়বড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভার মাত্র ৩ রান তোলে নিরাপদে কাটিয়ে দিলেও দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলেই ঘটে প্রথম অঘটন। ব্যাক স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শান্ত৷ বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হন ৩ বলে ১ রানে।
পরের ওভারটা অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষে আনেন তানজিদ তামিম। ১৮ রান নিয়ে আসেন ভিভিয়ানের ওভার থেকে। তবে এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ি হয়নি, পরের ওভারের প্রথম বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন লিটন। এঞ্জেলবার্থের দারুণ ক্যাচ হয়ে লিটন ফেরেন ১ রানে।
পরের কিছু সময় দেখেশুনে পাড়ি দিলেও পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবারো বড় রান আসে। এবার জ্বলে উঠেন সাকিব আল হাসান। তানজিদ তামিমকে দর্শক বানিয়ে ১৯ রান আনেন ভেন বিকের ওভার থেকে। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৪ রান।
এরপর থেকে সাকিব-তামিম মিলে খেলছিলেন দেখেশুনেই। তবে ৮.৩ ওভারে ক্যাচ তোলে দিয়ে তামিম ফেরেন ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি ভেঙে। দারুণ শুরুর পরও শেষটা রাঙাতে পারেননি তানজিদ তামিম। ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ তিনি। ২৬ বলে ৩৫ রানেই থামতে হয় তাকে।
এরপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সাকিব হাল ধরার চেষ্টা চালালেও জুটি বড় হয়নি। হৃদয় আজ আর ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি, ফেরেন ১৫ বলে ৯ রানে। তবে সাকিবকে থামানো যায়নি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ইনিংস টেনেছেন তিনি।
রিয়াদের সাথে জুটিতে ৩২ বলে ৪১ রান আনেন সাকিব৷ মাহমুদউল্লাহ আউট হন ২১ বলে ২৫ করে। তবে এর আগেই সাকিব তুলে নেন ফিফটি। ৩৮ বলে পৌঁছান এই মাইলফলকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৬৪ রানে, জাকের আলি করেন ৭ বলে ১৪ রান।