বগুড়ার চাঞ্চল্যকর শরীফ ও রুমন হত্যার ঘটনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে পুলিশ এবং একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু তার ছোট ভাই জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ও পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরো ১৪/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত শরিফের মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহীনুজ্জামান।
অন্য গ্রেপ্তাররা হলেন, সদরের সুলতানগঞ্জ পাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত (১৯), নিশিন্দারা খাঁপাড়া এলাকার আব্দুল গফুর এর ছেলে শেখ সৌরভ ও নিশিন্দারা পূর্বপাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে নাঈম হোসেন (২৮)।
এর আগে সোমবার (১৭ জুন) রাত দেড়টায় নিশিন্দারা চকপাড়া এলাকার জাহিদ মিয়ার কাঠের বাগানের গলিতে ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রুমন (১৭) ও দুদু মিয়ার ছেলে শরিফ (১৮)কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা গোলাগুলির ঘটনাও ঘটায়। এ ঘটনায় নিহতদের বন্ধু হোসাইন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং হোসাইনকে চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন বিকেলে নামাজগড় থেকে হাকিরমোড়ের দিকে যাওয়ার সময় নিহত রুমনের মোটর সাইকেল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুর গাড়িতে ধাক্কা লাগে। ওই গাড়িতে টিপুর মেয়ে ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আসামীরা ওই দিন রাত ১২টায় শরিফ শেখ, রুমন, হোসাইনকে জাহিদ মিয়ার কাঠের বাগানে মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), মো,শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৮ জুন দিবাগত রাত ১২টায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার আসামী হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা রিফাতসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, গতকাল সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে ডাকা হয়। এরপর তদন্ত শেষে রাত ৩টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।