ইসরাইলের সামরিক বহরে সবচেয়ে বড় নাম ‘আয়রন ডোম’। বিগত কয়েক বছরে এ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে গর্ব করে আসছে দেশটি। আর ইসরাইলকে নিঃশর্ত সামরিক সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি নিরাপত্তাকে অনেকটা নিজের দেশের সার্বভৌমত্বের চোখেই দেখে মার্কিনিরা। তবে এবার ইসরাইলের গর্বের ‘আয়রন ডোম’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রই। খবর সিএনএনের
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। পাল্টা জবাবে ফিলিস্তিনে নির্বিচারে ধংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেলেও এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অস্থিরতা বাড়ছে আরও।
এদিকে গাজায় হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলকে হুমকি দিয়ে আসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহকে সামাল দিতে সম্ভাব্য উপায় খুঁজছে ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আয়রন ডোমকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্তত তিন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনের কাছে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইসরাইলি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে বাঁচতে দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তর ইসরাইলে সম্পদ স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে তার দেশ। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করছেন, হিজবুল্লাহ যদি বড় পরিসরে নির্ভুল আক্রমণ পরিচালনা করে, তাহলে তা প্রতিরোধ করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে আয়রন ডোম।
হিজবুল্লাহ ইরানের সাহায্য নিয়ে নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করে আসছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে ইসরাইল।
চলতি মাসের শুরুতে উত্তর ইসরাইলের একট সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন আক্রমণ এবং একটি আয়রন ডোম ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত করার ভিডিও প্রকাশ করে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে ইসরাইলের গর্বের ‘আয়রন ডোম’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হতে থাকে।
ইসরাইলি বাহিনীর (আইডিএফ) অনুমান, হিজবুল্লাহর কাছে দেড় লাখের বেশি রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নির্ভুলভাবে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম হাজার হাজার অস্ত্র। এছাড়া কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের মতে, হিজবুল্লাহর স্থলবাহিনীর আকার হামাসের চেয়েও বড়। যাদের আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। তবে গত বুধবার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ দাবি করেন, তাদের প্রশিক্ষিত সশস্ত্র যোদ্ধার সংখ্যা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।