টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৮ রানের জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।
১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের বোলারদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ইংলিশরা। ১০ ওভারে প্রথম সারির ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে জয়ের ভিত রচনা করেন রাদাবা-নর্কিয়ারা।
৬১ রা নে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখান হল ব্রুক ও লিভিংস্টোন। দু’জনের ৭৮ রানের জুটি ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে ফেলে প্রোটিয়াদের। কিন্তু দলীয় ১৩৯ রানে ১৭ বলে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে লিভিংস্টোন আউট হলে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর হল ব্রুক ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে ইংলিশদের পরাজয় সময়ের ব্যাপারে পরিনত হয়। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা এবং মহারাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন। ডি কক ৩৮ বলে ৬৫ রান করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
এর আগে ওপেনার ডি কক এর ৩৮ বলে ৬৫ এবং ডেভিড মিলারের ২৮ বলে ৪৩ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ১৬৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। ৯ দশমিক ৫ ওভারে ৮৬ রান তুলে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ১৯ রান করে মইন আলীর শিকারে পরিনত হন হেনরিক। মাত্র ৬ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৩৪ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন ডি কক। ক্লাসেন এবং দলনেতা মার্করাম দ্রুত আউট হলে রানের গতি থমকে যায়। এরপর ডেভিড মিলার এসে আবারও চড়াও হন বোলারদের উপর।
মাত্র ২৮ বলে ৪৩ রান করে আর্চারের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মিলার। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্যান্ডের জাফরা আর্চার ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।