নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামে গোল্ডেন আম্রপালি আম চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন আম চাষি আনোয়ার।
উপজেলার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বর্তমানে”বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে” কর্মরত। তিনি চাকুরির পাশাপাশি সখের বশে গোল্ডেন কালার আম্রপালী আমের বাগান তৈরী করেন। বর্তমানে তার উৎপাদিত আম সারা দেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
আম চাষী আনোয়ার হোসেন জানান সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তিনি ছুটে আসেন নিজের হাতে গড়া সখের আম বাগানে। বাগানের সব ধরনের কাজ তিনি নিজ হাতে করতে ভালোবাসেন। স্প্রে করা, গাছের কাটিং, কীটনাশক ব্যবহার ও সঠিক ভাবে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার নির্ধারিত মাত্রায় জমিতে দেয়া সহ সকল কাজ তিনি সরাসরি তদারকি করে থাকেন।
আম চাষী আনোয়ার একজন পরোপকারী মানুষ আম বাগানে আগাছা নাশক ব্যবহার থেকে তিনি বিরত থাকেন কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে গ্রামের সাধারন মানুষ তাদের পোষা গবাদী পশুর জন্য খাদ্য হিসেবে তার বাগান থেকে সারা বছর ঘাস সংগ্রহ করে থাকেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলি জানান এলাকায় প্রথম গোল্ডেন কালার আম্রপালী আম চাষ করছেন আনোয়ার হোসেন। তার বাগানে প্রতিদিন লোকজন আসেন সেই গোল্ডেন কালার আম্রপালি আমের স্বাদ নিতে। আমের কালার দৃষ্টিনন্দন।
আমের রং হলুদ সোনালী হওয়ায় তার নাম দিয়েছেন গোল্ডেন আম্রপালি। আর সেই গোল্ডেন আম্রপালির সাফল্য সত্যি অবিস্মরণীয়।
আম চাষী আনোয়ার হোসেন জানান তিনি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে গত ২০২০ সালের দিকে মোট ২৫০০টি গোল্ডেন আম্রপালি,বারি-৪,ব্যানানা, কুমড়াজালি,ফজলি আম গাছ লাগিয়ে ছিলেন। বর্তমানে তার বাগানে রোপিত গাছের বয়স চার বছর। চলতি বছরে তার বাগানে আমের উৎপাদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান গত বছরের তুলনায় এবার বাগানে আম অনেক বেশী ধরেছে। মৌসমের শুরুতেই কুরিয়ারে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিকট আম পাঠানো অব্যাহত রয়েছে।
কেবল মাত্র আমের কালার ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবারে শুরু থেকেই তিনি ৫৫০০ টাকা দরে আম বিক্রি করছেন।
এবারে তার বাগানে যে পরিমান মন আম উৎপাদন হয়েছে। আর বর্তমান বাজার মুল্যে তিনি খুব খুশী। আশা করছেন এবার প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার আম বিক্রি হবে।
সফল আম চাষী আনোয়ার হোসেন সরকারি চাকুরির পাশাপাশি নিরাপদ আম উৎপাদন ও সরবরাহ করে ইতোমধ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।