বগুড়ার শাজাহানপুরে জীবিত থাকতেই নিজের জন্য কবর খনন করে আবারও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন মমতাজ উদ্দিন সর্দার (৭৫) নামে এক ব্যক্তি। শুক্রবার সকাল ৯টায় আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর সরদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মমতাজ উদ্দিন সর্দার উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিন সরদারের পুত্র।
এর আগেও তিনি ঈদের নামাজ একা একাই আদায় করেও এলাকায় তুমুল সমালোচিত হয়েছিলেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মমতাজ উদ্দিন নিজের বাসভবনের সামনে তার আপন ভাতিজা চাঁন মিয়া ও একই গ্রামের শাফিকুল ইসলাম নামে দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে কবর খনন কাজ শুরু করেন।
মমতাজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ‘অনেক বছর আগে ভাই পাগলা নামে এক পীর আমার বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় বিভিন্ন বিষয়ে উনার সাথে আমার কথোপকথন হয়। এক পর্যায়ে উনার সাথে কথা হয় নিজের কবর বেঁচে থাকতে নিজেই খুঁড়ে রাখতে হবে। সেই ওছিয়ত পূরণ করতে গিয়ে আজ আমি বেঁচে থাকতেই আমার কবর খনন করে রাখছি। বতর্মানে তিনি (পীর ভাই পাগলা) বগুড়া ঠনঠনিয়ায় অবস্থিত ভাই পাগলা মাজার শরীফে শায়িত আছেন।’
স্থানীয়রা জানান, মমতাজ উদ্দিন পীর ভক্ত লোক। বিভিন্ন সময়ে একা একা নামাজ আদায় করেন। গ্রামের সব ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। নিজের সংসার চালাতে যতটুকু সাংসারিক কাজ করতে হয় ততটুকু কাজ করেন। সব সময় একাকি সময় কাটান। এমনকি বছরে দুটি ঈদের নামাজ পর্যন্ত তিনি একা একাই আদায় করেন।
এছাড়াও তাকে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অনেক আলোচিত ঘটনা ঘটেছে।
আজ তিনি যে কবর খনন করলেন তা বালু দিয়ে ভরাট করে রাখবেন। তার মৃত্যু হলে বালু তুলে নিয়ে সেখানে তাকে দাফন করে রাখা হবে। এমনকি ওই কবরের চারপাশে প্রাচীর তৈরি করে রাখবেন বলে জানান এলাকাবাসী।
আশেকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বলেন, জীবিত অবস্থায় কোন মুসলমান এভাবে নিজের খবর খুঁজে রাখতে পারে এমন কোন নজীর নাই। এমনকি শরীয়তে এধরনের কোন সুযোগ আছে বলে আমি জানিনা। তার কবর খোঁজার কাজ বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে, জীবিত থাকতে মমতাজ উদ্দিনের এসব কর্মকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।