চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আয়োজকদের ভূমিকা। একাধিকবার বিমান বিভ্রাটের মুখে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। কখনও বা প্রশ্ন উঠেছে অনুশীলনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েও। খেলার পিচও বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে। এবার বিমানবন্দরে পৌঁছেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে বাধ্য হয় গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা দল। কেবল ক্রিকেটাররা নন, আটকে পড়েন ধারাভাষ্যকার এবং আম্পায়াররাও।
আগামীকাল বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল বার্বাডোজে। সেমিফাইনালে আফগানদের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের ভেন্যু ছিল ত্রিনিদাদ। ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যুর উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য ক্রিকেটাররা নির্ধারিত সময়েই হাজির হন ত্রিনিদাদ বিমানবন্দরে। কিন্তু বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা আটকা থাকলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা। কুইন্টন ডিককদের সঙ্গে আটকে থাকলেন ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররাও। ক্রিকেটারদের পরিবারও আটকে ছিল তাদের সঙ্গে। দিনভর অপেক্ষা করার পরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অবশেষে যাত্রা শুরু করেন টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। এতে নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পরে বার্বাডোজে পৌঁছান সবাই।
এবারই প্রথম নয়, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় বিমানবিভ্রাটের কারণে সারা রাত অপেক্ষায় ছিল শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। এরপর সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে ফ্লাইটের সমস্যার কারণে ৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছিল আফগানিস্তান দলের। যে কারণে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেননি রশিদ খানরা। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে আফগানদের। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা একই সমস্যায় পড়লো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বার্বাডোজ বিমানবন্দরে একটি বিমান অবতরণের সময় সমস্যা হয়। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের ত্রিনিদাদে অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। যদিও প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা তখন বিমানেই ছিলেন। কিন্তু বার্বাডোজে সমস্যার কথা জানতে পেরে ত্রিনিদাদেই আটকে থাকে ডি কিক-মার্করামদের বহনকারী বিমান।