টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে এক বছরের বেশি সময় পর তাদের দলে ফেরা নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। সেই দুজনের কাঁধেই ভর দিয়েই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতল ভারত। দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দুজনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বলে দিলেন বিদায়। যেন পাহাড়সম এক দায়িত্ব পালনের জন্যই তারা ফিরেছিলেন দলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শনিবারের ফাইনালের নায়ক বিরাট কোহলি ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসেই ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের। পরে একই পথে হাটেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও, তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন।
‘এটাই আমার শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় দেওয়ার এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। যখন থেকে আমি এই ফরম্যাটে খেলতে শুরু করেছি, তখন থেকে উপভোগ করছি। আমি এর প্রতিটি মুহূর্তই পছন্দ করি। আমি এটাই চেয়েছিলাম- কাপ জিততে চেয়েছিলাম।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলা মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার রোগিত। প্রথম আসরেই হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন। শেষটাও টানলেন মুকুট পরেই। মাঝে ১৭ বছর দলকে দিয়েছেন সেবা। ব্যাটার হিসেবে নিজেকে নিয়েছেন অভূতপূর্ব উচ্চতায়। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৫৯ ম্যাচে ৩২.০৫ গড়ে ৪২৩১ রান করে ফেলেছেন তিনি। আপাতত টি-২০-তে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। এই ফরম্যাটে তাঁর পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
ফাইনালে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও আসরে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিতই। ১৫৬.৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৫৭ রান। আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন হিটম্যান।