ইনজুরির কারণে একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি ও মার্কাস আকুনিয়া। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না স্কালোনি নিজেই। তার পরেও আর্জেন্টিনার জয়রথ থামাতে পারেনি পেরু। ডাগআউটের পাবলো আইমার আর ওয়াল্টার স্যামুয়েলদের নিয়ে গড়া একাদশই পেরুকে হারিয়েছে ২-০ গোলে । ম্যাচে জোড়া গোলকরেছেন লাওতারো মার্টিনেজ। এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা। দিনের অন্য ম্যাচে চিলিকে রুখে দিয়ে এই গ্রুপ থেকে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়েছে কানাডা।
ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে মেসিসহ বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও আর্জেন্টিনার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আক্রমণে গিয়ে পেরুর রক্ষণের পরীক্ষা নেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। গোলের জন্য মরিয়া আর্জেন্টিনা বলের দখল রেখে বারবার চেষ্টা করছিল পেরুর রক্ষণ দুর্গ ভেঙে গোল আদায়ের। কিন্তু জমাট রক্ষণের পাশাপাশি শরীরী ফুটবলে আর্জেন্টাইন আক্রমণভাগকে বেশ ভালোভাবেই আটকে রাখতে পেরেছিল পেরু।
ফলে আক্রমণ ও বল–দখলে এগিয়ে থেকেও শুরুতে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
এর মধ্যে ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। তবে ফ্রি–কিক থেকে লেয়ান্দ্রো পারাদেসের নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়ে পেরুকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পেদ্রো গায়াসি।
রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করায় খুব বেশি আক্রমণে যেতে পারেনি পেরু। প্রতি–আক্রমণ থেকে যে দুই–একটি সুযোগ এসেছে, সেগুলোও গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। তবে দারুণ এক আক্রমণ থেকে জিওভানি লো সেলসোর নেওয়া শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক গায়াসি।
বিরতির পরপর ডেডলক ভেঙে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লাওতারো মার্টিনেজ। দলীয় সমন্বয়ের এক আক্রমণ থেকে দি মারিয়ার পাসে গোলটি করেন এ ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার। ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটাও প্রায় পেয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু কর্নার থেকে বল পেয়ে নিকোলাস তালিয়াফিকোর করা গোলটি বাতিল হয় ফাউল করার কারণে।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেয় পেরু। কিন্তু পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ২–০ করতে ব্যর্থ হন পারাদেস। গোলরক্ষক ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেও, পারাদেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনা অবশ্য ঠিকই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায়। নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্টিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন মার্তিনেজ।