বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রংপুর -দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক শ্রমিক নেতা মোঃ গোলাম রব্বানী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর দক্ষিণ জেলার প্রধান উপদেষ্টা গণমানুষের নেতা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শ্রমিক নেতা মোঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকদের ওপর শোষণ-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। শোষণ-নিপীড়নের অবসান ও শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনোভাবে কোনো আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবে না। শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য হওয়া উচিত সবচেয়ে বেশি। কেননা তারাই সমাজ-রাষ্ট্রে সবচেয়ে নিগৃহীত। তাদের ওপর যুগযুগ ধরে শোষণ-নির্যাতন চলছে। কোথাও কোথাও শ্রমিকদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলে। শ্রমিকদের খাটিয়ে মজুরি পরিশোধ করা হয় না। ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ করানো হলেও তাদের অতিরিক্ত সময়ের মজুরি দিতে মালিকরা টালবাহানা করে। ঈদ ও উৎসবের সময় অন্য সবাই উৎসব ভাতা সহজে পেলেও শ্রমিকদের লড়াই করতে হয়। আবার লড়াই করা সত্ত্বেও অনেক সময় অনেক শ্রমিককে উৎসব ভাতা ছাড়াই বাড়িতে ফিরতে হয়। সন্তান-সন্তুতি ও পরিবারের সদস্যদের নতুন পোশাক দিতে পারে না তারা। শ্রমিক তার সন্তানের দিকে তাকাতে পারে না। এর চেয়ে নিদারুণ আর কী হতে পারে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান একমাত্র ইসলামই দিতে পারে। ইসলাম মালিক-শ্রমিকের মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামী শ্রমনীতিতে মালিক-শ্রমিক ভাই ভাই। সুতরাং এখানে এক ভাই সুখে থাকবে এবং অপর ভাই কষ্টে থাকবে এটা হতে পারে না। আল্লাহর রাসুল সা: নির্দেশ দিয়েছেন, তুমি নিজে যা খাবে, যা পরিধান করবে, তোমার অধীন ভাইকে একই খাবার ও পোশাক প্রদান করবে। এর চেয়ে সুন্দর ও অনুপম নীতি আর কিছু হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, যখন শ্রমিক মালিকের কাজ সততার সাথে সম্পাদন করবে তখন মালিকের দায়িত্ব হয়ে যায় শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। যখন মালিক-শ্রমিক কাঁধে কাঁধ মিলাবে তখন আর সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হবে না।