জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন ও কর্মচারী সমিতি সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের আওতামুক্ত রাখা এবং ইজিসি কর্তৃক প্রণীত প্রহসনের অভিন্ন আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন(বাআবিকফ) এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার (০১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসানিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন কর্মচারী ইউনিয়ন ও কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। এতে তারা আজ হতে ৩ দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন এবং এই সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের উপর চাপিয়ে দেয়াকে কুচক্রী মহলের কাজ বলে দাবি করেন।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হওয়ার পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সরকারি চাকরি বহির্ভূত সবাই এর আওতাধীন হবে। কিন্তু বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই পেনশন স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে বিষয়টি কর্মচারীদের স্বার্থের সাথে সাঙ্গর্ষিক বলে মনে করি। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিমের বাহিরে রাখার দাবিতে আজ থেকে ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছি।
এছাড়াও কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.আবুবকর সিদ্দিক বলেন,কোন কিছু অর্জন করতে হলে একটা মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আর আমাদের এই দাবি আদায়ের মাধ্যম হলো আন্দোলন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।