নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কোন ভাবেই কমছে না এসব দ্রব্যের মূল্য। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিটি পণ্যের দাম। বিশেষ করে সবজির বাজারে দেখা দিয়েছে ভয়ানক আগুন।
সম্প্রতি জেলা সদর সহ দেশের উত্তর অঞ্চলের সবজির দাম দ্রুত বেড়ে যায়। বাজার উর্ধ্বগতির জন্য সবজি বিক্রেতারা আমদানীকে অপর দিকে কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিকে দায়ী করলেও বাজার মনিটরিং না হওয়াকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। তাদের দাবী এখন অতিবৃষ্টির কারণে সবজির আমদানি অনেক কম কিন্তু বাজার মনিটরিং না থাকায় দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা। আমদানির পরিমান কম হওয়ার অপর দিকে বাজারে কৃত্তিম ভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ীয়া।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধমূখি। কোন ভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে দিন এনে দিন খাই এমন লোকজন।
মঙ্গলবার সকালে আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সহ একমাত্র প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রি পযর্ন্ত কেনা বেচার হাট-বাজার সাহেবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাচাঁ মরিচ ২০০শত ২৪০টাকাপ্রতিকেজি,পটল ৪০টাকা,বেগুন ৭০টাকা, করলা ৬০টাকা,ফুলকপি ১২০টাকা,কচু ৪০টাকা,বরবটি ৬০টাকা একই বেড়েছে বিভিন্ন শাক সবজি, এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম ১৮০ টাকা বেড়েছে। গত কয়েক দিনেই বেড়েছে ডালের দাম্। মুসুরডাল ১৩০-১৪০ টাকা,মুগ ৮০-৯০টাকা,ছোলা ৭০-৮০টাকা,শুকনা মরিচ ২০০টাকা। আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের ক্রেতা মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়া জানান, কাঁচা বাজারের কোন শাক-সবজির দাম ৪০ টাকার নিচে নাই। তাই কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নওগাঁ শহরের কাচাঁ বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, বতর্মানে অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির করনে সবজির জমি পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে সরবরাহ কম থাকায় বৃর্দ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।