দিনাজপুর জেলার আত্রাই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এছাড়া জেলার পুনর্ভবা, ইছামতী, ঢেপা, কাকরা ও করতোয়া নদীর পানি পৌঁছে গেছে বিপদসীমার কাছাকাছি।
গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুর শহর ও আশপাশে টানা বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাঘাটে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সব নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হতে পারে বলে আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার খানসামা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও চিরিরবন্দর, সদর উপজেলার অংশে বয়ে যাওয়া আত্রাই, সদর উপজেলার উপর বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা ও ফুলবাড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর পানি বিপদসীমার খুব কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর জামান নয়ন জানান, আজ (বুধবার) সকাল ১০ টায় জেলার খানসামা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর এই অংশে বিপদসীমার ৪৩ দশমিক ৭০ মিটারের বিপরীতে প্রবাহিত হচ্ছে ৪৪ দশমিক ১৭ মিটার উপর দিয়ে। আত্রাই নদীর পানি জেলার চিরিরবন্দরের ভূষিরবন্দর অংশে বিপদসীমার ৩৯ দশমিক ১৫ মিটারের বিপরীতে প্রবাহিত হচ্ছে ৩৭ দশমিক ৬ সে. মিটার উপর দিয়ে।
এছাড়াও শহরের পাশ দিয়ে বহমান পুনর্ভবা নদীর পানি বর্তমানে ৩০ দশমিক ৯৫ সে. মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুনর্ভবা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার দিয়ে। ফুলবাড়ি উপজেলার ইছামতী নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২৬ দশমিক ৩৫ মিটারে, এই নদীর বিপদসীমা হচ্ছে ২৯ দশমিক ৫০০ মিটার। বিরল উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর পানি ৩৪ মিটারের বিপরীতে প্রবাহিত হচ্ছে ৩২ দশমিক ৭ মিটারে।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরো জানান, আজ বুধবার সকাল ১০ টায় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৪ টি নদীর মধ্যে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও পুনর্ভবা, ইছামতী ও টাঙ্গন নদীর পানি বিপদসীমার খুব কাছাকাছি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেলে সাড়ে ৩ পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে জেলার সব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান জানান, গতকাল বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।