বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে বাদশা আলমকে (৩৫) ৫ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ধুনট থানা পুলিশ ও র্যাব ১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কোনাবাড়ি জেলখানা সড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বাদশা আলম উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর খাদুলী গ্রামের দেলবার খার ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদশা আলম ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করার সময় এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার পথে শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকায় ধর্ষণ করে বাদশা আলম।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে ২০০৭ সালের ২ মার্চ শেরপুর থানায় বাদশা আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ তদন্ত শেষে বাদশা আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আসামী বাদশা আলমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করেন। মামলার রায় ঘোষনার সময় বাদশা আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায় ঘোষনার পর থেকে আসামী পলাতক থানায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান জানান, আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানামূলে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বাদশা আলমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।