‘ন্যায় বিচার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। বিচার পেতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছি। আমার জানামতে আমি কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করিনি। আমার সহকর্মিদের সবাইকে সাথে নিয়ে বিচার বিভাগের দৃশ্যমান পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছি। আমি মনে করি ২ বছর অনেক সময়। এই লম্বা সময় ধরে গাইবান্ধার মানুষকে আইনীসেবা দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি’।
বদলিজনিত বিদায় অনুষ্ঠানে গাইবান্ধার বিদায়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: আবুল মনসুর মিঞা এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২জুলাই) পড়ন্ত বিকেলে গাইবান্ধার আদালত ভবনে মো: আবুল মনসুর মিঞার বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুনতাসির আহমেদ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুর রহমানসহ গাইবান্ধা জেলা বিচার বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, মো: আবুল মনসুর মিঞা একজন শিক্ষক পরিবারের সন্তান। তিনি দেশের আইনাঙ্গনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষদের দোরগোড়ায় সুষ্ঠু বিচার পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অন্য পেশায় না গিয়ে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছেন কেবল সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্যই। মো: আবুল মনসুর মিঞা কেবল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়েই যোগ দিয়ে খ্যান্ত হননি। তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত করে রেখেছেন। তাঁর শৈল্পিক ছোঁয়ায় পুরো গাইবান্ধার বিচারিক চিত্র পাল্টে গেছে। তিনি অত্যান্ত বিচক্ষণতার সাথে বিচার কার্যক্রম চালিয়েছেন। ২০১৮ সালে আলোচিত রুপা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে বিচারাঙ্গণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, মো: আবুল মনসুর মিঞা ঠাকুরগাঁও জেলায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবেন।