মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর!

নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৩ Time View

কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা নেই, তবে সহিংসতা করলে ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া কোটা সংস্কার প্রশ্নে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নেই বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার বিকালে গণভবনে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলাম। কোটা বাতিল করায় সমস্যা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একবার তারা (শিক্ষার্থীরা) এ ধরনের আন্দোলন করছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?

তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না আইন মানবে না। সংবিধান কী তা তারা চেনে না। একটা সরকার কীভাবে চলে তা সম্পর্কে আন্দোলনকারীদের কোনো জ্ঞানই নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান কী বলে তা তাদের জানা উচিত। এখন আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। কিন্তু তারা আদালতে না গিয়ে রাজপথে দাবি আদায় করতে চায়।

তিনি বলেন, কোটার সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। আদালতের রায় মানতে হবে। আর যদি না মানে তাহলে কিছু করার নেই। তারা রাজপথে আন্দোলন করতেই থাকবে করুক। তবে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা যদি কাউকে আঘাত করতে চায়। পুলিশের গাড়িতে হামলা করতে চায় তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এখানে আমার কিছু করার নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা দাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিরা কোটা সুবিধা পেতে পারবেন না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পাবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত সোমবার সরকারি সফরে বেইজিং যান। তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

বুধবার প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণা পত্র সই করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 trinomulkhobor.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin