কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে চার স্তরের নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণসহ অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহলের পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। মোতায়েনকৃত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনী অন্যতম।
জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে দেশের একমাত্র ভূ-গর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া ও মধ্যপাড়া পাথরখনি, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা), ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প, রেলহেড অয়েল ডিপো অন্যতম।
অতিগুরুত্বপূর্ণ এসব স্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য। এর মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ৪০, মধ্যপাড়া পাথরখনিতে ৭০, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫৩, কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় ২৪, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পে ৪ এবং রেল হেড অয়েল ডিপোতে ৭ জন সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান অবস্থায় ডিজেল ওয়ার্কশপ ও ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপো ও পার্বতীপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করা বিভিন্ন ট্রেন, তেলের ওয়াগনের নিরাপত্তায় সশস্ত্র রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ছাড়াও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পার্বতীপুর চৌকির চিফ ইন্সপেক্টর মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘রেলওয়ের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আরএনবি ছাড়াও আনসার সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি সাকিউল আযম বলেন, ‘সৈয়দপুরের মাননীয় পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. ফারহাত হোসেন স্যারের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে স্টেশনের পাশাপাশি থানা এলাকায় অতিরিক্তসংখ্যক অফিসার ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।’
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে মডেল থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। সেই সঙ্গে থানাধীন বিভিন্ন পুলিশ তদন্তকেন্দ্রকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।