বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশের মত বগুড়াতেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাথে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন অভিভাবক এবং সাধারন জনগণ। অবিরাম বর্ষনের মাঝেও ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বগুড়া শহর।
শুক্রবার জুমআর নামাজের পর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খন্ড খন্ড মিছিল শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথার দিকে আসতে থাকে। নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো সাতমাথা মুহুর্তেই হাজার হাজার ছাত্র-জনতায় ভরে যায়। মুহুর্মুহু স্লোগেন কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। সময় বাড়ার সাথে সাথে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
একসময় গোটা সাতমাথা বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বিক্ষোভে কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহন করে। শত শত অভিভাবক তাদের সন্তানদের হাতধরে বিক্ষোভে নিয়ে আসেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনি, পেশার অসংখ্য মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেন।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সাতমাথা থেকে সরে এসে জেলখানা মোড়ে অবস্থান নেয়।
এসময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা সাতমাথায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবারো সাতমাথার দিকে রওয়ানা দেয়।
মুহুর্তের মধ্যে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আবারও সাতমাথার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। দীর্ঘ সময় সাতমাথায় অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা আন্দোলনে নিহতদের খুনীদের বিচারসহ ছাত্র আন্দোলনের ৯দফা দাবী মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায়। ৯দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয় তারা।
বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকলেও তারা বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়নি।